[Poem][newsticker]
2024

 https://somoyjournal.com/news-post/39980/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87:-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%8F%E0%A6%AB-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8


জামাল উদ্দীন:

বিশ্ববাজারে পণ্যের উচ্চ মূল্য দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, এমনিতেই মানুষ শ্লথ প্রবৃদ্ধি ও উচ্চ ঋণের কারণে জেরবার; তার সঙ্গে উচ্চ মূল্যস্ফীতি মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ করে তুলবে।

বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের যৌথ সম্মেলনে দেওয়া এক বক্তৃতায় ক্রিস্টালিনা বলেন, বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম যে বেড়েছে, তা দীর্ঘস্থায়ী হবে। এতে মানুষের কষ্ট বাড়বে। এই দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ মূল্যের কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেন। তিনি আরও বলেন, একদিকে প্রবৃদ্ধির ধীরগতি, আরেক দিকে উচ্চ ঋণ—এই জোড়া ধাক্কার হাত থেকে মানুষের নিস্তার নেই।

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি কিছুটা ভালো অবস্থায় রয়েছে; যদিও তাঁর সতর্কবার্তা, উদ্বেগ এখনো রয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির তুলনায় কিছুটা কম।

সম্মেলন উপলক্ষে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে আইএমএফ। সংস্থাটির পূর্বাভাস, চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। আগামী বছরেও প্রবৃদ্ধির একই থাকবে। এর মধ্যে উন্নয়নশীল ও উদীয়মান দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ দশমিক ২ শতাংশ আর উন্নত দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৫ সালের পর বৈশ্বিক সার্বিকমূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

আইএমএফ আরও বলেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। সার্বিক মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জন্য জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়ে আইএমএফের আগের পূর্বাভাস ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে মূল্যস্ফীতি আগেও ৯ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি। সর্বশেষ আউটলুকে বলা হয়েছে, ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে বিশ্বের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ২ শতাংশে স্থির থাকবে। তবে নিম্ন প্রবৃদ্ধি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও সাম্প্রতিক বন্যা এর অন্যতম কারণ বলে জানায় সংস্থাটি। এর আগে প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছিল আরেক দাতা সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি। এবার একই পথে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফও। 

গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে, আইএমএফের প্রতিনিধি দল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্যভাবে মন্থর বলে মন্তব্য করে। প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার মত কিছুই ঘটেনি বলেও জানায় তারা। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, শিল্পখাতে অস্থিরতা এবং বন্যাকে কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়।


 https://somoyjournal.com/news-post/38765/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%82%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0




জামাল উদ্দীন:

দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে বাণিজ্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ সংস্কার উদ্যোগের তাগিদ দিতে মহাসমাবেশ আয়োজন করছেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। এরই মধ্যে তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মিটিং করেছেন। সেই মিটিংয়ের সূত্র ধরে ব্যবসায়ীদের মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবসায়ী সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে দেশের শিল্পায়নকে এগিয়ে নেয়া, উৎপাদন বাড়ানো, আইনি ও  ব্যাংকিং ব্যবস্থার এবং সাম্প্রতিককালে শিল্প খাতে যে অস্থিরতা রয়েছে তা কঠোর হাতে দমন করা। 

গত ৫ আগষ্ট বিগত সরকারের পতনের পর শিল্পখাতেও অস্থিরতা বিরাজ করছে। শ্রমিকদের নানা দাবিতে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের মধ্যেও বিভক্তি ছড়িয়ে পড়েছে। কতিপয় ব্যবসায়ী নেতা বিগত সরকারের দালালি করেছেন এমন অভিযোগে সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলেছেন, অতিমাত্রায় দালালির কারণে বাণিজ্য প্রসার ঘটেনি। এমনকি ব্যবসায়ীদের পক্ষে কথা বলার ফোরামগুলোও সরকারের কব্জায় পড়ে যায়। এ অবেস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সংস্কার ও বিদ্যমান নেতৃত্বে আমূল পরিবর্তন জরুরী। এসব সংগঠনের নির্বাচনী কাঠামো সংস্কারের প্রয়োজনীয়তাও দেখা দিয়েছে। 

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইকে কেন্দ্র করে অনেকদিন ধরেই সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে জানান এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক আবদুল হক তিনি বলেন, এফবিসিসিআই মূলত সব ধরণের ব্যবসায়ীদের সংগঠন হলেও সম্প্রতি এটি এলিট বিজনেস ক্লাবে পরিণত হয়েছে। এই এলিট ক্লাব আবার বিশেষ রাজনৈতিক মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীদের এলিট ক্লাব। এখানকার নেতৃত্ব ঠিক করে দিত সরকারের উপরমহল থেকে। সাধারণ সদস্যরা মতিঝিলে সংগঠনটির অফিসে ঢুকতে হলেও বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হতো। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনায় এফবিসিসিআইয়ের শীর্ষ পদে অধিষ্টিত হওয়ার সুযোগ থাকায় সাধারণ সদস্যদের গুরুত্ব ছিল একেবারেই কম। আগে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতিসহ সব পদে সরাসরি নির্বাচন হতো এবং যারা নির্বাচিত হয়ে আসতো প্রত্যেকেই ছিলেন নামকরা ব্যবসায়ী এবং সবার ইমেজ ছিল ভিন্ন রকম। বির্গত কয়েকটি নির্বাচনে বিগত সরকারের আশীর্বাদপুষ্টরা এখানে এসে শীর্ষ পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ফলে সাধারণ সদস্যদের প্রতি কোন জবাবদিহিতা তাদের ছিল না বলা যায়। 

সরকার পতনের পর ভিন্ন ধারার কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা সামনে চলে এসেছিলেন। অভিযোগ উঠেছে এদের কেউ কেউ বিজনেস কমিউনিটির কন্ট্রোলিং পাওয়ারটা নিজের আয়ত্বে নিয়েছেন। সাধারণ সদস্যদের অভিযোগ, আগের মতই কি এখনো চলবে? যদিও অনেকে বলেছেন একটা পরিবর্তন তো হতেই হবে। এটি সেই পরিবর্তনেরই ফল। তবে ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা বলেছেন, তারা বরাবরই অবহেলিত। বাংলাদেশ এসএমই ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী জামান জানান, সবসময়ই এলিট ব্যবসায়ীদের স্বার্থসিদ্ধি করে আসছে এফবিসিসিআই। কিন্তু ব্যাপক কর্মসংস্থান হলেও এসএমই খাত ছিল উপেক্ষিত -অবহেলিত। আমরা চাই এফবিসিসিআই-এ এমন নেতৃত্ব আসুক যারা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসবেন, যারা জিতবেন তারা ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবেন। 

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, সম্প্রতি শিল্প কারখানায় হামলার পেছনে বহিরাগতদের উস্কানি রয়েছে। তাদের মতে, কারখানার ভেতরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করলে সেটা আলোচনার মাধ্যমে মেটানো যায়। কিন্তু বহিরাগতরা এসে হামলা চালালে কিংবা বাইরে থেকে ভেতরে শ্রমিকদের উস্কানি দিলে সেটা সহজে সমাধান করা যায় না। ব্যবসায়ী নেতারা বহিরাগতদের হামলা-উৎপাতকে এই মুহূর্তে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কেউ অভিযোগ করে বলেছেন, রাজনৈতিক পালাবদলের সুযোগ নিয়ে কতিপয় ব্যক্তি, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও চাঁদাবাজি করছেন।

বর্তমানে বাংলাদেশের বড় শিল্প গ্রুপগুলোর সবাই প্রায় বেকায়দায় রয়েছে। বিশেষত: ছাত্র আন্দোলনের সময় গণভবনে ব্যবসায়ী নেতাদের বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় অনেকে আতঙ্কেও আছেন। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার নামে সামনের সারিতে চলে এসেছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা। এদের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টুসহ কয়েকজন রয়েছেন। গুলশানে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্র (আইসিসি) অফিসে একাধিক বৈঠক হয়েছে।  এসব বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেয়া ও উদ্ভূত বিষয়ে সরকারের সুনজরে আনা প্রয়োজন বলে মতামত ব্যক্ত করা হয়। সে ধারাবাহিকতায় দেশের বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নজরে সমস্যাটি তুলে ধরা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করে করেন। এ অবস্থায় তারা সিদ্ধান্ত নেন যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তারা বিষয়টি তুলে ধরবেন এবং সে আলোকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ব্যবসায়ী সম্মেলনের উদ্যোগ নেয়া হয়। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কাছে আনুষ্ঠানিক দাওয়াতপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 

এদিকে এফবিসিসিআই-এর বর্তমান সভাপতি মাহবুবুল আলম দীর্ঘদিন ধরেই মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে যাচ্ছেন না। তার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে পদত্যাগ দাবি করে সাধারণ ব্যবসায়ীরা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ ব্যবসায়ীদের দাবি এখন থেকে এফবিসিসিআই সরাসরি ভোটে নেতা নির্বাচন করবে। আর এভাবেই এই মুহূর্তে এফবিসিসিআই সংস্কারের পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়া হবে বলে মনে করেন তারা। 

ব্যবসায়ীরা জানান, যৌথ অভিযান শুরুর পর শিল্প কারখানায় পরিবেশ কিছুটা শান্ত হয়ে আসছে। তবে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ এখনো পুরোপুরি কাটেনি। এখানে শ্রমিকদের স্বার্থের পাশাপাশি শিল্পেরও নিরাপত্তা জরুরী । শিল্প না টিকলে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। এজন্য শিল্প সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় নীতি সংস্কার দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে পারে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টুর সাম্প্রতিক তৎপরতা বেশ চোখে পড়ার মতো। সরকার পতনের পর তিনি অনেক কিছুতেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। ব্যবসায়ী সম্মেলনেও তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াকে নিয়েও তিনি ব্যবসায়ী সম্মেলন করেছিলেন। তার এবারের তৎপরতায় অনেকেই খুশি। কেউ কেউ আবার ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বললেন, বিগত সরকারের সুবিধাভোগী কোন কোন ব্যবসায়ী নেতাকে তিনি শেল্টার দিচ্ছেন। এরমধ্যে এফবিসিসিআইয়ের দুইজন সাবেক সভাপতির কথাও বলেছেন তারা। তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করার জন্য টেলিফোন করা হলেও আবদুল আউয়াল মিন্টুর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।


Jamal Uddin
Journalist & Author


Jamal Uddin, is a distinguished Bangladeshi journalist renowned for his significant contributions to the media landscape. Currently he is working for online news portal www.somoyjournal.com as Director (news). Before his current responsibilities, he was special correspondent cum Business & Economic Editor of the Daily Ittefaq.
As an Editor of Business and Economic page, he was responsible to lead business section like as writing and editing Business, Economics, Aviation & tourism, Development related news.
Jamal Uddin is famous for his field, Economic journalism in Bangladesh. He writes column about economy of Bangladesh in editorial page of Ittefaq, gets popularity among the readers. 
He has won the Best Reporting Award 2006 and 2007 by Dhaka Reporters Unity, sponsored by Ministry of Finance and Planning, Bangladesh and Federation of Bangladesh Chambers Of Commerce and Industries (FBCCI). He also won REHAB Best reporter of The Year Award 2012. He won best reporting award of Economic Reporters Forum(ERF) Bangladesh at 2020. Also won Amcham Frontline Journalism Award 2021 by American Chamber of Commerce in Bangladesh. 
He also holds various training fellowships in the field of Development and business reporting.  He is a fellow member of U S International visitors program for journalists’ alumni.
Visited U S A as a guest of U S State department and participated various discussion forums of journalism, visited several newspapers office and TV stations. While the visiting America, he also interviewed by Voice of America as a prolific writer and journalist. Jamal also visited France, Germany, Belgium, China, United Arab Emirates, Singapore, Uzbekistan, Malaysia, Thailand, Srilanka, nepal and India for professional purposes. 

He has successfully concluded Edward R. Murrow program for journalist academic curriculum at Annenberg school for communication of University Of Southern California, California and school for communication of Jackson state University, Mississippi.  
An industry insider, Jamal started his career in early ‘90s and worked for different newspapers and news magazines.

An active member of professional organization, he was elected President (2016) and General Secretary (2011) of Dhaka Reporters Unity. He also served the Economic Reporters Forum, Bangladesh as an assistant general secretary and Finance Secretary of Bangladesh Aviation and Tourism Journalist Association.  He is also a member of national press club, Dhaka Union of Journalist etc.
He is not only a journalist, but a writer. He writes short story and he is the author of three books published at Ekushey  boimela 2004, 2013, 2016  by different publications house.  His book `Media Hypes and Disaster Management: A Case Study of Rana plaza Bangladesh' published by lap-lambert that translated in 8 different languages. As a designated discussant, he participates various TV talk shows on contemporary issues.

He has a vast knowledge about economics, social science; he obtained post graduate degree from University of Dhaka.  In addition to Bengali, he speaks and writes in English. Born in Noakhali, Jamal lives in Dhaka with his parents.

mvsevw`KZv ïiæ beŸB `k‡Ki ïiæ‡Z| eZ©gv‡b ˆ`wbK B‡Ëdv‡Ki we‡kl cÖwZwbwa I A_©‰bwZK m¤úv`K wn‡m‡e Kg©iZ| †`‡ki cÖ_g †kÖYxi †ek K‡qKwU cwÎKvq KvR Kivi AwfÁZv| mvsevw`KZvi Rb¨ GdwewmwmAvB I A_©gš¿Yvj‡qi †mŠR‡b¨ `yÕevi n‡q‡Qb wWAviBD ‡miv wi‡cvU© weRqx| ågY K‡i‡Qb †ek wKQz †`k| hy³iv‡óªi †÷U wWcvU©‡g‡›Ui Avgš¿‡Y wfwRUm© wjWvikxc †cªvMÖv‡g Ask †bb wZwb| XvKv wek¦we`¨vjq †_‡K D”PZi wWMÖx AR©bKvix Rvgvj DÏx‡bi i‡q‡Q †emiKvix wek¦we`¨vj‡q LÛKvjxY wkÿKZvi AwfÁZvI|
evsjv‡`‡k A_©‰bwZK mvsevw`KZvi we¯Í…wZKv‡ji Ab¨Zg ‰mwbK| mvsevw`KZvi cvkvcvwk Ki‡Qb †jLv‡jwLi PP©©vI| MíKvi wn‡m‡e BwZg‡a¨ mswkøó gn‡j mybvg AR©b|
Rvgvj DÏx‡bi †jLv‡jwL‡Z AvZ¥wb‡qvM †QvU‡ejv †_‡KB| wjUj g¨vMvwRb Avi ˆ`wbK cwÎKvi mvgwqKx cvZvq cÖKvk beŸB `k‡Ki ïiæ‡ZB| wbR¯^ wjLb‰kjx, wPšÍv-‡PZbvq e¨wZµg| ¯^KxqZv Avi welqщewP‡Î¨ fiv M‡íi Rb¨ cvVK mgv`„Z|
RvZxq †cÖmK¬ve I XvKv wi‡cvU©vm© BDwbwU KZ©„K m`m¨ †jLK m¤§vbbv cÖvß| hy³ wQ‡jb wjUj g¨vMvwRb m¤úv`bv Avi K_vmvwnZ¨ †K‡›`ªi m‡½| †`‡k RvZxq ch©v‡q cÖ_g ev‡ii gZ AbywôZ gyw³hy‡×i Mí Drm‡ei AvnŸvqK wQ‡jb| g‡Â Mí Dc¯’vcbvi bZzb gva¨g Ô‡÷vwi w_‡qUviÕmn M‡íi bvbv dg© wb‡qI KvR K‡i‡Qb| cÖKvwkZ MíMÖš’ wZbwU|


 https://www.bd-pratidin.com/editorial/2024/12/17/1062297 


জামাল উদ্দীন

আকাঙ্ক্ষানিত্যপণ্যের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই উদ্বেগের কমতি নেই জনমনে। মূল্যস্ফীতির হার কমাতে বেশ প্রচেষ্টাও রয়েছে সরকারের। কিছু নীতিপদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে সব ফলপ্রসূ হচ্ছে বলে মনে হয় না। দেশে অধিকাংশ জনগণের আয়সীমার তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি। তাহলে আয় বাড়াতে হবে কিংবা মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে। বিষয়টি বেশ জটিলও। রয়েছে বেকারত্বের চাপ। এ পরিস্থিতি কর্মসংস্থানমুখী বিনিয়োগ বাড়ানোর গুরুত্ব বহন করে। 

বেকারত্ব যে পরিমাণ বাড়ছে তাতে কর্মসংস্থানের দিকে জোর না দিলে দেশে সামাজিক অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কা থাকে। কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ বৃদ্ধি তথা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে এগোতে হলে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ, নীতিমালা দরকার। সুদের হার কমিয়ে বিনিয়োগ উৎসাহিত করার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বাজারে টাকার সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার নীতি বহাল আছে। ব্যাংকঋণের সুদের হার বাড়িয়ে দিয়ে সংকোচনমূলক নীতিতেই ভরসা করেছেন নীতিনির্ধারকরা। যে লক্ষ্যে এ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে তার সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এখন বিনিয়োগের জন্য যে পরিমাণ সহায়ক পরিবেশ দরকার বা যেসব নীতি সহায়তা দরকার, সে বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করা যাক।

প্রথমে আসি ব্যাংকঋণের সুদহার নিয়ে। আমাদের এখানে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় উচ্চ সুদহার বিনিয়োগে বড় বাধা। ব্যবসায়ীরা বরাবরই নমনীয় সুদের পক্ষে ছিলেন। এটা নিয়ে দীর্ঘদিনের দাবি, বিশেষত সিঙ্গেল ডিজিট সুদের হার বাস্তবায়ন করা। পাশাপাশি সিম্পল রেট বা সরল সুদহার ব্যবস্থা প্রবর্তন। কিন্তু এই একটি জায়গায় আমরা ঠিক স্ট্যান্ড নিতে পারিনি। মাঝে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে আনা হলেও আবার তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিগত সময়ে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিট না হলেও সরল সুদহার প্রবর্তন করা যায়নি। এ নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে পতিত সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে একাধিকবার কথাও বলেছিলাম। তিনি দিনক্ষণ মাস ঠিক করে দিয়েও সরল সুদহার বাস্তবায়ন করতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে সিঙ্গেল ডিজিটের বদলে আবার তা ডাবল ডিজিটে পৌঁছে যায়।

সুদের হার নিয়ন্ত্রণ করার কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন- এ কথা নতুন নয়। আগেই বলেছি, সুদের হার বৃদ্ধির বিষয়ে যুক্তি হচ্ছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি সামাল দেওয়া। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুযায়ী দেশে যে হারে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, তাতে এটা কমিয়ে আনার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে সুদের হার বাড়ানোকে ব্যবহার করা হয়েছে। এ কথা ঠিক যে সুদের হার বাড়ানোর ফলে মুদ্রা সরবরাহ কমে যাবে। কিন্তু এর আরও কিছু প্রভাব রয়েছে। আমরা যদি শুধু মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য সুদের হার বাড়াই তা কিন্তু প্রকারান্তরে বিনিয়োগ আবার নিরুৎসাহিত করবে। কারণ সুদের হার বাড়লে বিনিয়োগের খরচ তথা ব্যবসায়িক খরচ বেড়ে যায়। এমনিতেই বাংলাদেশে ব্যবসার খরচ অনেক বেশি। বিশ্বব্যাংকের ইজ অব ডুইং বিজনেসে ব্যবসার সহজীকরণের জন্য বিভিন্ন সময় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সুদের হার বৃদ্ধির ফলে ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প খাত বিকশিত হচ্ছে না।

দেশে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণও সুদের হার বৃদ্ধি। ব্যবসায়িক খরচ বেড়ে যাওয়ায় উদ্যোক্তা সময়মতো কিস্তি দিতে পারেন না। তখন তার নেওয়া ব্যাংকের ঋণ খেলাপি হয়ে পড়ে। একদিন পুরো উদ্যোগটাই রুগ্ন হয়ে পড়ে, উদ্যোক্তার স্বপ্ন এবং কর্মসংস্থান দুই-ই নষ্ট হয়। এ ঋণের বোঝা জাতির ঘাড়ে পড়ে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুর বলেছেন, আগামী দিনে খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে যাবে। খেলাপি ঋণ বাড়ার পেছনে তিনি যদিও বিগত সরকারের সময়কার উদাহরণ টেনেছেন। ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ার পেছনে নানা অনিয়ম কাজ করেছে। খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং পরিদর্শন বিভাগ দীর্ঘদিন তাদের তদারকি কাজ বন্ধ রেখেছিল। কী কারণে, কার নির্দেশে রুটিন ব্যাংকিং ইন্সপেকশন বা সুপারভিশন যা-ই বলি না কেন- এটা বন্ধ ছিল, সে বিষয়টি তদন্ত হওয়া দরকার। আমাদের ব্যাংকিংব্যবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং পরিদর্শন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাদের কাজই নিয়মিতভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ইন্সপেকশন করা। এসব ইন্সúন্ডেকশনে ব্যাংকগুলোর দুর্বলতা বা কোনো অনিয়ম থাকলে স্পষ্ট হয়ে উঠত। ব্যাংকগুলোকে পরিদর্শন করার পর সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে ওপর মহলে প্রতিবেদন পাঠানো হতো। অনেক সময় মিডিয়ার হাতে পড়ে গেলে সংবাদপত্রগুলোর মাধ্যমে পাঠকরা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকটির স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে পারতেন। তখন আমানতকারীরা আমানতের ক্ষেত্রে তথা ডিপোজিট রাখার ক্ষেত্রে বাছবিচার করার সুযোগ পেতেন। পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী অনেকেই ভালো ব্যাংকে আমানত রাখতেন। কিন্তু ব্যাংকিং পরিদর্শন বিভাগকে বসিয়ে রেখে গোটা ব্যাংকব্যবস্থা পঙ্গু করে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল কাদের স্বার্থে সে বিষয়েও মনোযোগ কাম্য। এমনও শোনা গেছে, কতিপয় প্রভাবশালীর ইন্ধনে কিছু কিছু ব্যাংক স্পেশাল পরিদর্শনের আওতায় এসেছিল। আজকে সাধারণ আমানতকারীদের টাকা ফেরত না পাওয়া কিংবা ব্যাংকগুলো আমানতের টাকা ফেরত দিতে না পারার এটাও একটা বড় কারণ।

এখন মূল আলোচনায় আসি। সুদের হার বৃদ্ধির ফলে যারা প্রকৃত ব্যবসায়ী তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই ক্ষতি কেউ খুশিমনে মেনে নিতে না পারলে তার ঋণটি খেলাপি হয়ে যেত। অনেক নতুন উদ্যোক্তা কিংবা পুরনো উদ্যোক্তাই যদি নতুন করে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেন, তবে তার অর্থ জোগানটাই বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেয়। একটি শিল্প প্রকল্প করতে গেলে মেশিনারিজ আমদানি থেকে শুরু করে র’ মেটেরিয়ালস বা কাঁচামাল আমদানি পর্যন্ত অনেকগুলো স্তর পার করতে হয়। পরিবেশ ছাড়পত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে। ওসব জায়গায় আবার আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দিনের পর দিন অপেক্ষায় থাকতে হয়। এমন অনেক ঘটনাও ঘটেছে- অনেক শিল্প প্রকল্প ব্যাংকের ঋণ পেয়েছে কিন্তু বিদ্যুৎ বা গ্যাস সংযোগ পায়নি। মেশিন এনে বসিয়ে রেখেছে, কিন্তু স্টার্স্ট দিতে পারেনি। অন্যদিকে ব্যাংকের কিস্তি প্রদানের সময় চলে এসেছে। স্বভাবতই যে উদ্যোক্তা বিদ্যুতের অভাবে তাঁর কারখানা চালু করতে পারেননি, তিনি কীভাবে নিয়মিত ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করবেন?

আবারও মূল্যস্ফীতির কথায় আসা যাক। মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়া হলো। কিন্তু দুর্বল যেসব ব্যাংক ‘লুটে’র শিকার হয়েছে, সেগুলো পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সরকার টাকা ছাপিয়ে সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করলে তার প্রভাবও বাজারে পড়বে। আর টাকার ছড়াছড়ি থাকলে মূল্যস্ফীতি কমবে কীভাবে! সর্বশেষ খবরে অবশ্য দেখেছি ৪-৫ শতাংশে মূল্যস্ফীতি নামিয়ে আনার একটা আশাবাদী বক্তব্য নীতিনির্ধারকরা দিয়েছেন। যদি তা-ই হয়, সেটা ইতিবাচক হবে কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সুদের হার বৃদ্ধি করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ারটি ব্যবহারের ফলে শিল্প খাতে তথা কর্মসংস্থানমুখী বিনিয়োগ আমরা নিরুৎসাহিত করছি। এখন সময় এসেছে বিকল্প কিছু ভাবার।

রাজনৈতিক সরকারের কিছু টানাপোড়েন থাকে, কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার তার ঊর্ধ্বে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য এটি বড় সুযোগ আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা নিয়ে আসা এবং প্রয়োজনে নজরদারি বাড়ানো।  প্রথাগত সংস্কার আমরা চাই না, দীর্ঘ মেয়াদে একটি পরিবর্তনের জন্য কাঠামোগত পরিবর্তনই কেবল প্রত্যাশিত সাফল্য এনে দিতে পারে।

♦ লেখক : সাংবাদিক

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Theme images by Jason Morrow. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget